সোহেল রানা বাবু,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের ফকিরহাট ও অন্যান্য শীতের পাখির অভয়ারন্যে শীতের শুরুতেই পাখি শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।শীত বেড়ে যাবার সাথে সাথেই দেদারসে চলছে অতিথি পাখি নিধন।মৌসুমী শিকারীদের সাথে সৌখিন শিকারীদের হাত থেকেও রেহাই পাচ্ছে না অতিথি পাখির সাথে দেশীয় প্রজাতির পাখিরাও। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পাখি শিকার নিষিদ্ধ করা হলেও বাস্তবতার খাতায় তার যেন কোনো বালাই নেই।জেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রাম-এলাকাতেই এই পাখি শিকারীর দেখা পাওয়া যায়।
দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এরা বিল-ঝিল,বনে-বাদাড়ে পাখির অভয়ারণ্য গুলোতে দাপিয়ে বেড়ায়।এদের হিংস্র লোলুপ থাবায় প্রকৃতির অপার সুন্দর দান পাখিকুল বিলুপ্তি হতে চলেছে ।জেলার বিভিন্ন এলাকায় সৌখিন ও পেশাদার পাখি শিকারীরা বন্দুক, বিষটোপ,জাল ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে এসব পাখি শিকার করছে।এতে করে একদিকে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণও বাড়ছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সৌখিন শিকারীদের সাথে পাল্লা দিয়ে শিকার চালায় মৌসুমী শিকারীরা।বিষটোপ,বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ, এয়ারগানের সমন্বয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলে পরিবেশ বান্ধব এবং শীতের তীব্রতায় ছুটে আসা পাখ-পাখালির।অবাধ শিকারের সাথে চলে দেদারছে বিক্রয়।নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন পেশাদার পাখি শিকারী বলেন, বাজারে পাখির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।তাই কোনো মতে ধরতে পারলেই তা বিক্রি করতে সমস্যা হয় না।
এ প্রসঙ্গে প্রকৃতি প্রেমীরা বলছেন,পাখি শিকার জীববৈচিত্র্যর জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং দন্ডনীয় অপরাধ।শুধু পাখি নয় বন্য প্রাণী রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি যে যার অবস্থানে থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।তা না হলে আগামী প্রজন্মকে শুধুমাত্র কাগজে কলমে বন্য প্রাণীর নাম জানতে হতে পারে।
Leave a Reply